গ্রীষ্মকাল সবেমাত্র আসতে শুরু করেছে, যার অর্থ শীঘ্রই লম্বা হাতার জামা এবং প্যান্টের বাঁধা থকে মুক্ত হওয়ার সময় আসবে। কিন্তু কিছু মানুষের জন্য সময়টা ‘গুটিময় ত্বক’ ‘মুরগীর চামড়া’র সাথে মোকাবিলা করা।
কেরাটোসিস পিলারেস হচ্ছে এই বিরক্তিকর ত্বকের সমস্যা যা ক্ষুদ্রাকার, শক্ত লাল গুটি, শুষ্কতা এবং অনিয়মিত চুলকানি এ কয়েকভাবে বিভক্ত। এবং ভাল খবর হচ্ছে যে এটি সম্পূর্ণরুপে অনুপকারী।
কেরোটোসিস পিলারিস হচ্ছে একটি সাধারণ ত্বক সমস্যা যা কেরাটিন নামক প্রোটিন তৈরির সময় দেখা যায়, কেরাটিন সাধারণত ত্বককে ক্ষতের হাত হতে রক্ষা করে। মাত্রাতিরিক্ত কেরাটিন চুলের গোড়ার কোষে জমা হয় এবং কোনো কোনো স্থানে রুক্ষতা সৃষ্টি করে। এই পরিস্থিতি মানুষের বাহুতে, পায়ে এবং এমনকি পশ্চাৎ অংশেও সৃষ্টি হতে পারে। এটি কোনো ক্ষত নয়, এটি ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণে ঘটে।
যদিও বাস্তবিক অর্থে কেরাটোসিস পাইলারিস প্রতিহত করা বা থামানো যায় না, এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:
- মৃদুভাবে আপনার ত্বক ধুয়ে ফেলুন। ঘষা এড়িয়ে চলুন যেহেতু এরফলে এর অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে।
- সুগন্ধি সাবানসমূহ এড়িয়ে চলুন। সাধারণভাবে পরিষ্কার করার সাবান বেছে নিন। উচ্চ সুগন্ধিযুক্ত সাবান এই লক্ষণগুলো বাড়িয়ে দেয়।
- আপনার তোয়ালে ব্যবহার পদ্ধতি পরিবর্তন করুন। যখন আপনি গোসল সারবেন নিজেকে শুকনা রাখুন, ঘষা মাজা করবেন না। এবং যদি পারেন, আটসাট পোশাক এড়িয়ে চলুন।
- একটি বিশেষ লোশন ব্যবহার করুন। এমন একটি লোশন ব্যবহার করুন যার মধ্যে ল্যাকটিক এসিড আছে, যা ঔষধের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়।
- ত্বকের ক্রিমসমূহ সম্পর্কে আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। রেটিনয়েড ক্রিমসমূহ বা অন্য গ্রীষ্মকালীন পণ্যাদি যার মধ্যে স্টেরয়েডস আছে সেগুলি প্রদাহ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে।